Blogs

ঘাড় ব্যথা​

ঘাড় ব্যথা বাংলাদেশিদের মধ্যে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। গ্লোবাল হেলথ ডেটা এক্সচেঞ্জ ও বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর এক লাখ মানুষের মধ্যে ১,৬৩৯ জন ঘাড়ের ব্যথাসহ অন্যান্য ব্যথায় ভুগেন। বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ‘দ্য ল্যান্সেট’ বলছে বিশ্বব্যাপী ৩৩ কোটি মানুষ ঘাড় ব্যথা নিয়ে চলেন।

সাধারণত তিন ধরনের ঘাড় ব্যথা দেখা যায়। পেশি ও হাড় সংক্রান্ত সমস্যায় —এক্সিয়াল, স্নায়ু কোষের গোড়ার সমস্যায়— রেডিকুলার ও স্পাইনাল কর্ড বা সুষুম্না কাণ্ডে চাপের কারণে মাইলোপ্যাথি ব্যথা হয়। তিন প্রকার ব্যথাই স্বল্প বা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।

কারণ যেটাই হোক ঘাড় ব্যথায় তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। সেই সাথে দুর্বলতা, অসাড় অনুভূতি, মাথা ব্যথা কিংবা কোন কিছু ধরতে বা ভারি কিছু তুলতেও সমস্যা হতে পারে।

ঘাড় ব্যথা উপশমে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর। কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে নিয়ম করে থেরাপি নিতে হবে। ফিজিওথেরাপিস্টরাই থেরাপির রুটিন তৈরি করে দিবেন। আর এই সময়ের মধ্যে কোন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলে তা অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে।

কথায় আছে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই যেসব কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে দৈনন্দিন জীবনে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এ জন্য প্রতি ছয় মাস অন্তর ফিজিওথেরাপিস্ট দেখানো সবচেয়ে ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *